আড়াই প্যাঁচের পরে যে নাচ নাচি
শকুনদের আর প্রেস্টিজ নেই যে মড়ার ওপর নাচবো
প্রেমিকাদের গলার আওয়াজ স্বপ্নগুলোকে যেমনঢঙে
চুবড়ি খুলে নাচায়, আমি নাচি আড়াই প্যাঁচে
দ্বিতীয় চামড়ার মতন ঘামে ভিজে নাচি
বৃষ্টিতে ঘাসেরা যেমন দমবন্ধ নাচে
তেমন আকাশের বরফ থেকে বিদ্যুৎরা নাচে
চুবড়ির মধ্যে আমি ঝাঁপাই আড়াই প্যাঁচে
আমাকে নাচতে দেখে আমার রক্ত দেখে
কিছু-কিছু হাসিতে ভয় লুকিয়ে রাখিস তোরা
মগজে তুষার ঝরে, মুণ্ডু-ছাড়া কাঁধ নাচাই
ঘড়ির কাঁটাও পেছনপানে ঘোরে
অনেকে বলে নাচুনে কেমনধারা লোক রে
আড়াই প্যাঁচ খেয়েও চোখ নাচায় ঠ্যাং নাচায়
স্বরবর্ণ বাদ দিয়ে হাসে, তাও পিত্তি-ওঠা কালচে
ডানা ঝাপটাই আর নাচি, চুবড়িটাকে নাচাই
নিজস্ব ঢঙে আরও এক আত্মঘোরের চাবুক খেলে গেল এই কবিতায়। প্রকৃতির প্রবৃত্তির অনুজ্ঞা থেকে উৎসারিত জীবন যখন স্বয়ংক্রিয়তা পায় তখনই এরকম নাচ আসে। এই বিস্মিত করে, স্পন্দিত করে, আবেগকে বিপরীত মুখী প্রবাহিত করে । কবিতার চিরন্তন পথকে আলাদা করে চিনিয়ে দেয়।
ReplyDeleteভালো লাগলো দাদা
ReplyDelete