।। বাক্‌ ১১৮ ।। ধীমান চক্রবর্তী ।।





দুটি কবিতা


পার্থক্য  

সরলরেখায় পোষ মানানো ফেরিঘাট
অন্ধকার ভেঙে ফেলে সময়কে,
গান, --এই ড্রেসিংটেবলের ঠোঁট এবং
              স্মৃতিমাখা উচ্চারণ--
যা অন্য কোনো দিক থেকে আসছে
বুঝতেও পারছ না প্রতিমূর্তিতে রোলকল শুরু
যার মানে করতে পারো বর্ণালি
করতে পারো পারাপার নিরক্ষরেখা কিংবা
                     রাঙতার তহশিল
হারিয়ে যাওয়া যুক্তি তুলে আনছ মায়ের
                     চোখ থেকে
ব্যক্তিগত বৃষ্টি নিয়ে এই ফিল্ম
তোমাকে পাঠানো চিঠি -- কমলালেবুর
বিঁচি খুলে আলাদা করছে এলোচুল
আলাদা করছে ছায়াকারী আলো






মুখোমুখি


নিজের আঁকা ছবির দিকে তাকিয়ে, খালি
              কেঁদে চলেছে পেনসিল
তাকে বাগাডুলি খেলতে ডেকে নাও
হলুদ চামড়ায় মোড়া জিভ-
প্রতিবেশীদের আজও ঠিকঠাক চিনতে পারে
টেবলে একশো রকম কালো কফি
আঁকতে চায় ঘরের বাইরে ছোট্ট ছাদটাকে
দিক সম্বন্ধে ধারণা ছিল কি ছিল না
                     বলতে পারবো না
তবু পাখি ফেরার ঈশান কোণ তো ছিল
ফেলে যাওয়া আলো খুঁজতে আমরা একবার
                     ফিরে এসেছিলাম
আর সিগারেটের বাদামি আলো

ফেরার পথে তুমি সব নিভিয়ে দিয়েছিলে




চিত্রঋণ  Nathalia-Suellen

2 comments:

  1. এক প্রবহমান মুগ্ধতার কাছে কেবলই নিঃস্ব হয়ে যাই...

    ReplyDelete