বঙ্কিমচন্দ্র । অর্জুন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রণীত




বঙ্কিমচন্দ্র অর্জুন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রণীত

পঞ্চদশ পর্ব

‘‘আমার ঘাড় থেকে বেরোনো শিরা আড়াআড়িভাবে কেটে তোমাকে পেরিয়ে চলে যাচ্ছে...
...তোমার জন্য শুধু একপায়ের জুতো ছেড়ে যাচ্ছি এখানে
এটা পরে, আমার পেছন পেছন এসো...’’
রোজা জামালি



ভীষ্মপর্ব

প্রীতিলতার দেওয়া বইটার কাগজের মোড়ক একদিন আনমনে খুলে ফেলেন বঙ্কিম। দেখেন, কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাসের মহাভারতরাজশেখর বসুর অনুবাদ। বহুবার পড়া। হঠাৎ এ বইটা প্রীতিলতা কেন দিল! এ তো কোনও অজানা বই নয়। প্রীতি বলছিল অনেক কথা বলবে। কী কথা? কী করছে ও? এ বইটা কাউকে দিতেই বা নিষেধ করল কেন? কী আছে এতে? নানা প্রশ্ন ঘুরতে থাকে বঙ্কিমের মনে। এসব ভাবতে ভাবতেই পাতা ওলটান। বেরিয়ে পড়ে ভীষ্মপর্ব। জীবনে কতবার যে পড়েছেন। আজকে আবারও পড়েন।

ভীষ্মপর্ব
জম্বুখণ্ডবিনির্মাণ ও ভূমি-পর্বাধ্যায়
| যুদ্ধের নিয়মবন্ধন

পাণ্ডবগণ কুরুক্ষেত্রের পশ্চিমভাগে সসৈন্যে পূর্বমুখ হয়ে অবস্থান করলেন। স্বপক্ষ যাতে চেনা যায় সেই উদ্দেশ্যে যুধিষ্ঠির ও দুর্যোধন নিজ নিজ বিবিধ সৈন্যদলের বিভিন্ন নাম রাখলেন এবং পরিচয়সূচক আভরণ দিলেন।

যুদ্ধারম্ভের পূর্বে উভয় পক্ষের সম্মতিতে এইসকল নিয়ম অবধারিত হল। —যুদ্ধ নিবৃত্ত হলে বিরোধী দলের মধ্যে যথাসম্ভব পূর্ববৎ প্রীতির সম্বন্ধ স্থাপিত হবে, আর ছলনা থাকবে না। এক পক্ষ বাগ্‌যুদ্ধে প্রবৃত্ত হলে অপর পক্ষ বাক্য দ্বারাই প্রতিযুদ্ধ করবেন। যারা সৈন্যদল থেকে বেরিয়ে আসবে তাদের হত্যা করা হবে না। রথীর সঙ্গে রথী, গজারোহীর সঙ্গে গজারোহী, অশ্বারোহীর সঙ্গে অশ্বারোহী, এবং পদাতির সঙ্গে পদাতি যুদ্ধ করবে। বিপক্ষকে আগে জানাতে হবে, তার পর নিজের যোগ্যতা ইচ্ছা উৎসাহ ও শক্তি অনুসারে আক্রমণ করা যেতে পারবে, কিন্তু বিশ্বস্ত বা বিহ্বল লোককে প্রহার করা হবে না। অন্যের সঙ্গে যুদ্ধে রত, শরণাগত, যুদ্ধে বিমুখ, অস্ত্রহীন বা বর্মহীন লোককে কখনও মারা হবে না। স্তুতিপাঠক সূত, ভারবাহক, অস্ত্র যোগানো যাদের কাজ, এবং ভেরী প্রভৃতির বাদ্যকারকে কখনও প্রহার করা হবে না।

পাতা ওলটান বঙ্কিম
ভাঁজ করা, একটা শাদা কাগজ বেরোয়।
হাতে লেখা।
ম্যাপ আঁকা।
পড়ে ফেলেন।
মাথা টিপ টিপ করে
কাউকে কিছু বলতে পারেন না। কোনওদিন পারবেনও না বলতে।
ছাদে চলে যান।
পায়চারি করেন, অস্থির।
অনেকক্ষণ বসে থাকেন কার্নিশে বিমূঢ়
রাস্তা দিয়ে চলেছে অজস্র বাস লরি অটো ট্যাক্সিকোনও শব্দই তাঁর কানে আসে না। ভেতরটা, স্তব্ধ
মনে হয়, রবীন্দ্রনাথের চিঠিটা একবার যদি পড়ানো যেত প্রীতিকে।
কিন্তু, কোথায় এখন। সে। প্রীতিলতা। 
                  
শতাব্দীর শুরুতেই আমরা হয়ত শতাব্দীর শেষ বাজিটা ধরছিঅথবা জুয়ার শুরুতেই বাজি ধরছি এই শতাব্দীটাকে



(চলবে)





1 comment:

  1. Casinos Near Hollywood Casino and Gauteng - JTM Hub
    Casinos 동두천 출장샵 near Hollywood Casino and Gauteng 나주 출장샵 · Hollywood Casino Gauteng · Hollywood Casino Gauteng · Hollywood Casino 남원 출장샵 Gauteng · Hollywood 공주 출장샵 Casino Gauteng · Hollywood Casino Gauteng · Hollywood Casino 진주 출장안마 Gauteng.

    ReplyDelete