চারটি বিচ্ছিন্ন
দৃশ্য
১
হাওয়ায় খুব ক্যাজুয়ালি
পৃষ্ঠাগুলি উড়ছে। এ বাড়ির বেড়ালটির মতো চঞ্চল। ফিরে ফিরে
উড়ছে। ও বাড়ির মেয়েটা মাঝেমাঝেই রাতে কাঁদে আর ভোরে উঠে কলকাতা যায়। ক’দিন পর ফেরে, আবার আমি কান্না শুনি। কেউ মানায় না ওকে। আমি বেড়ালটাকে জড়িয়ে ধরে উমমম হই। পৃষ্ঠাগুলোর ধাক্কা লেগে লিরিক্যাল হয়ে ওঠে হাওয়া। রাতে। ভোরে উঠে…
২
সঠিক মতো জায়গায়
ফুরিয়ে আসছে আলো। এটা একটা স্টেশনবেঁধা কথা। এই স্পটে
ভায়োলিনসমৃদ্ধ রেলগাড়ি এলো নাইনটিজ’এর উম্মীদ আর ইন্তেজার নিয়ে।
স্মৃতি পেকে উঠছে
ঝিমগন্ধ পাচ্ছি।
৩
খুব বেশি উড়নচন্ডী নই
তবু আমার পায়ে
শহরটা খুব ছোট ঠেকে আজকাল। নদীর পারে চলে যাই, জুতো পরেই যাই, হলুদ পাঞ্জাবিও
নয়। আমার হিমু হওয়ার যে ইচ্ছেটা নদীর পারে বড়ো হচ্ছে তার মাথায় হাত
বুলিয়ে ফিরে আসি। বুড়িগঙ্গার বালিতে গলা অবদি ডুবে পূর্ণিমার আলো খাওয়া আমার কি
হবেনা কোনোদিন!
৪
পা থেকে মাথা অব্দি
তুমি একজন শূন্যার্ত।
সন্ত্রাসও তোমার
ধানচাষও তোমার। কোথাও কোথাও অবশ্য গমচাষ আর পশুপালন।
তোমার মৃত্যুই
তো সবচে বেশি সংবাদ উৎপাদনক্ষম। সবচে তুচ্ছ।
আচ্ছা, গালের মাংসে কি এখনো ব্যথা?
আগেই সব কটা লেখা শোনা। যাদু আছে কলমে তোমার জ্যোতি দাদা
ReplyDeleteভালো লাগল ...
ReplyDeleteমানসিক একটা পীড়ন আছে কবিতা ও তার বাক্যগুলোতে। প্রস্তুত ছিলাম না, বিকেলটা ধানচাষ আর সন্ত্রাসের মধ্যে দিয়ে যাক। অভিনন্দন আপনাকে জ্যোতির্ময়।
ReplyDeleteবাহ।খুব সুন্দর
ReplyDelete