।। বাক্‌ ১১৮ ।। শানু চৌধুরী।।







গদ্য ককটেল


%-এর মানুষেরা

ধরা যাক একটা পাঠশালা আপনি শিখে ফেলেছেন কিছু ভুল যুক্তাক্ষরের ব্যবহার এটাকে শুধরে দেওয়ার জন্য অভিধান হাতে না নিয়েই, সহজিয়া আদল তৈরি করে বিবলিগ্রাফারকে খিস্তির প্রবণতা দেখা দেয়এটা মড়ক ওই বাঁশফুল জন্মাবার মতন।।

এবার পাঠশালার বাইরে চলে যাচ্ছেন আপনি লাস্টবেঞ্চ থেকে চেয়ার যতটা দূরে একটা দ্বীপ একটাই চেয়ার এবার ওই দ্বীপটা দখল করতে চাইছেন আপনি ওই কালো মানুষের অহংকার নয় তার সাজ,অলঙ্কার,অণুপ্রাস ভেঙে ফেলে


প্রতিটা স্থিরচিত্রই ছায়া

লং শটে একটা ট্রেনের শব্দ অথবা জানালার ছেঁড়া পর্দা আপনার অপুকে মনে পড়তে বাধ্য বাধ্যই আমার নিজের ব্যান্ডেজ আর ক্ষতের মাঝে যে মাছিটা তাকে দেখিয়ে দিতে বাধ্য আমিওআমার অনুপম অনুশীলনও
প্রচার থেকে আত্ম বেরিয়ে গেলে নিজের প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে যায়।হারিয়ে যায়।আর কুলগুরু নিয়ে আসেন দাঁতের ধারালোতা' আঘাতের স্কেলিং


অসদ্ বিম্ব

ক্যামেরাবন্দী আর নিজের সত্যির মধ্যে একটা Poetic juxtaposition আছেএটাই আদপে কারুকাজ অথবা পুরোপুরিভাবে চতুরঙ্গ যেখানে না আর হ্যাঁ-এর মধ্যে সেতু তৈরি হচ্ছে তৈরি হচ্ছে কাজ



অনুপম '' সভ্যতা


একটা সভ্যতাতার কঙ্কালসার চেহারা ভেবে বসছেন ভাবছেন অবলুপ্ত এক সিভিলাইজেশন একটা C14 টেস্ট যার রন্ধ্রে রন্ধ্রে বয়ে চলছে নদীবা একটা নদীর ভিতর তিক্ত আবর্জনার অভিজ্ঞতায় বয়ে চলছে অনুপমনদী ইট বাঁধানো ঘাটের শ্যাওলাএদিকে আজও কোনো রাখালদাস আসেনিবেঁচে রয়েছি আমরা!

সন্দেহজনক অনুপম

একটা তীব্র সন্ধ্যাপ্রদীপ তার পার্শ্বচরিত্র কীনা?সময় বলবেবলবে "The solitary cyclist" কেউ রিরি করবেকেউ ডাকবে কুজনমরিয়ার্টি দ্য ক্রিমিনাল মাইন্ডের তকমা পেয়ে যাবে আর এই একটা শার্লক যার রক্তে এত হাততালিযার গ্রে ম্যাটার আমাদের কো-রিলেট করতে পারছে না বলে তবুও হাততালি তার দিকে "?"কইমরিয়ার্টিবিহীন শার্লক হলোনা...


/না স্তিক অনুপম

প্রকৃত নাস্তিকতা কী শচীশ জানত?”

এই যে সুন্দর আলো ফুটে উঠছে আজ বেদ নেইরয়েছে অজস্র ডিসকোর্সআমি না বুঝে মানছি না
ফলাফলের দিকেও তাকিয়ে থাকছি না শুধু তেষ্টাটুকু ঘেঁটে দিতে চাইছে ওঁরা আমার আত্মার ইনবক্স জুড়ে


চাবুকের চিহ্নদাতা যারা

পারলে ফিরিয়ে নিও এই হাঁ করা মাংসতোমার স্বাতন্ত্র্য নুন উঠে আসছেআমি হাঁটছি বলেকিন্তু;আমি অচলসমস্যাগুলো তোমার সাথে অঙ্কের মতন কষে ফেলিওই মহীরুহ রেগে যাচ্ছেআমি তাঁর ছায়াকে নিতে চাইছি না বলেআমি কমদামী অথচ একজন জীবনদাতার পিছনে ছুটছিওঁরা চাবুক মারছেআর তুষারগুলো উড়ে যাচ্ছেতুরিনের ঘোড়া আর আস্তাবল ভেঙে পড়ছে না!শক্ত হচ্ছে


আশ্চর্য করে দিতে পারছে একজন

আমিতো পারছি দেঁরিদাকে নিয়ে ভাবতে"specter of marx"পড়তে কষ্ট হচ্ছে যে এটা চিরকালীন কঙ্কাল আলো-আঁধারির খেলা গো
এই যে কেউ বলছে আমি অধর্মের পথে কিন্তু;আমার কাজ আমি জানছি তবুও পথ ঢুকে গেলে আমি আর রিট্রিট চাইনাজুয়ায় হেরে গেলেও কেঁদে ফেলিনা টেক্কার সামনে আমি কেঁদে ফেলি শেষদানের ঠিক তাসটার সামনেআমার জন্য কিভাবে হেরে গেল ! দেখতে পাচ্ছো



আচার্যগুরু হতে চেয়ে যে পারলো না

শব্দছক দেখিনা কোনোদিন"The Burial of the dead"এটা নিয়ে ভেবেছি কোনোদিন? না আমি ভাবিনি কোনোদিনশুধু শিখেছি ফুলমালা চড়াবার গপ্পো ওই যে কবরগুলো ভুলেই যেতে হয় আসলেআসলে যুদ্ধ হতে হয় রোজ নতুনরোজ নতুন গন্টলেটের ক্ষমতা নেই আমার!তাই এই আঙুল তোমাকে পাঠালাম না
হে টাইপপ্রিয় কবি তোমাকে পাঠালাম না।একলব্য তাকিয়ে আছে একটাই মানুষের কথার দিকে।তলোয়ার ধরতে শিখিয়ে দেওয়ার দিকে।




জলের যেটুকু ভিসকোসিটি

একটা উদাহরণ রাখলামযেমন-জলের থেকে মধুর ভিসকোসিটি বেশীতা বলে মধুকে ভালো বলতে পারিনামধু আমার কতটা প্রয়োজন?যতটা প্রয়োজন কালমেঘের? আর জল? বলবে না কিছু? এর উত্তর এই যে ফুটছে আমার পিপাসাতার নিবারণ মধু হতে পারে নাপারে জলজলের Pa.s=(N.s)/m2

বিগ স্কাই আর সীমারেখা

পাখার তীব্র জ্বালাআকাশটাকেও গন্ডি করে দিচ্ছেঅর্ন্তদৃষ্টিরনীতিতত্ত্ব,নৈতিক অবধারণ সমাজ সাপেক্ষ আমার নিজের একেকটা ডগমা ভেঙে পড়ছেতোমরা বুঝতে পারছ নানৈতিক অবধারণের বিচারক আমি নই,আমার মানসিক অবস্থা আমি যথোচিত বলছিতার অর্থ এই বেড়ি ভেঙে আমি পছন্দ করছি কাজকেএই বিশ্লেষণ আমার মনস্তাত্ত্বিকজাগিয়ে তুলছে"Big Sky"-এর পর্দা


পিগম্যালিয়ন আর Higgins,আর ফুলবিক্রেতা


পিগম্যালিয়ন।আমি Higgins-কে দেখতে পাচ্ছি।শেকল ভাঙতে ভাঙতে এই নক্ষত্রস্তর আমার এতকাছে।অনুপমের দিকে ছুটে যাচ্ছি
ব্যর্থতা নিয়ে।ওই আমার Higgins"Red river"-এর দিকে বিছিয়ে রেখেছ যে বিপরীত ভেবে কাঁটা অথবা শাস্তির স্বরুপ তাঁদের দিকে ওই নামাঙ্কিত কোনো ভাস্কর্য নেই....

সংখ্যাতত্ত্ব ততটাও নির্ভীক নয়

,,১২,৩৯,১৬০,?
এরকমই একটা নাম্বার সিস্টেমআর এই ৪সংখ্যার ভিতরেই লুকিয়ে আছে পারস্পরিক সংখ্যার নিজস্বতাআসলে সবাই নিজেই নিজের বন্ধু সকলের নিজস্ব Pyrrhic victory
কেউ পুড়তে চায় আর বিরুদ্ধ বিক্ষোভের প্রোটাগনিষ্ট ছুড়ে দেয় সেই চরিত্রের শূণ্যগর্ভতাআমার মনুসংহিতা জ্বালানোর একটা মানুষ চাইআমার চাকরিহীনতার দিনে


কোয়ান্টাম তুমি যতটা আধুনিক বলে রাখোনি


ধাঁধার ভিতরে জড়িয়ে যাচ্ছে কোয়ান্টামযে বিন্দুকে ধরে রাখছি তা মিশে যাচ্ছে অপর কোনো বিন্দুতে এই রুদ্ধশ্বাস!তাঁর ফিউশন উপাস্য দেবতার সিংহাসন নিয়ে টানছে অনুচরদ্বয়প্রতিষ্ঠার মঞ্চে কোনো এক অশ্বঘোষ নেই। যে আজও নিজেকে চেতনার যুগান্তরে লিখে রাখছে শ্লোকের বানভাসি উপাসনাহে সভারত্ন!এই আপনার লাগাম আজও বেহাল।




আঁতাত একটা ডাক

ইতিহাস যেভাবে ভেঙে দিলো বোল্ডারতার ভিতর ঢুকে আছে উমিচাঁদমোহনলালকে মনে রাখেনা কেউআসলে হলমার্ক একটা নকল নরম সোনার সাথে মীরজাফর  গেঁথে দিতে পারলোনা আঁতাত….
এসকল আমার প্রামাণিকপরানুকরণের সূতো জানে যে দিক,তাঁকে ছিঁড়ে দাও ডন জুয়ানছদ্ম আদর্শবাদ থেকে

হয়তো আমিও সেই ধীবর নিজের কথা লিখে ফেললাম আমার এটুকু নদীর মাঝেজমতে থাকা 
পাথরের আর ঝর্ণার প্রতিকৃতি নিয়ে


                  

   সংবেদন এক সরলতম চেতনাঅথচ এক অলীক বস্তু threshold of sensation থেকে কেঁপে উঠছে যে স্নায়ুর পারদ তাঁর Choleric ব্যাখাকে আমি তছনছ করিনাএকটা ফুলের জ্ঞানলগ্নের দিকে সাজিয়ে রাখি অভিসার

              “If your opponent is choleric temper,seek to irritate him.Pretend
               To weak,that he may grow arrogant”-Sun Tzu                   



হয়ত এই লেখার কোনো পাঠক থাকবে নাহয়তো এই লেখা দীপন প্রাবল্য থেকে কয়েকশো ক্রোশ দূরে
তবুও,হে মোর মুক্তধারা "পৃথিবীতে কোনো একলা মানুষই এক নয়,সে অর্ধেকআর একজনের সঙ্গে মিল হলে তবেই সে ঐক্য পায়"
হে মোর রবীন্দ্রনাথ- "আমার বুক কান্নায় ভরে রয়েছে...চেয়ে দেখ পাখি দেবদারুগাছের চূড়ার ডালটির ওপর একলা বসে আছে- কি নীড়ে যাবে,না অন্ধকারের ভিতর দিয়ে দূর প্রবাসের অরণ্যে যাত্রা করবে"-
আমিও তবে মারখানেওয়ালার ভিতর মারনেওয়ালা?.....





2 comments:

  1. ভালো লাগলে বেশ।অন্যরকম একটা ফ্লেভার আছে। ককটেলে নেশা তুঙ্গে।

    ReplyDelete
  2. দারুণ ফ্লেভার।তবে শেষ করাটা নিয়ে আরো আগ্রাসন উচিত ছিল।পুরো ডমিনেট্ করে মনে হলো যেনো আত্মসমর্পণের বেদনা।এ বিষয়ে আলোচনার ইচ্ছে থাকছে

    ReplyDelete